অনুসরণকারী

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

44. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*


      *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 


*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৫====🥀*


     *আহলে বাইতের সদস্য বর্গের স্বদেশ* 

                         *প্রত্যাবর্তন* 


      ইয়াযীদ আহলে বাইতের মহিলাদেরকে নিজ অন্দর মহলে থাকতে দিল। উভয় বংশের মধ্যে যেহেতু আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল তাই ইয়াযীদ বংশীয় সমস্ত মহিলাগণ তাদের নিকট এসে সমবেদনা জ্ঞাপন করতে লাগল এবং তাদের দুঃখে শরীক হতে লাগল। ইয়াযীদ উভয় বেলা আহারের সময় ইমাম যাইনুল আবেদীন আলী ইবনে হুসাইনকে শাহী দস্তর খানায় নিজের সাথে বসাত। কয়েকদিন যত্নখাতিরের সাথে মেহমানদারী করানোর পরে ইয়াযীদ আহলে বাইতের কাফেলাকে কিছু মাল সামান দিয়ে একজন বিশ্বস্ত সৎচরিত্র ব্যক্তির তত্বাবধানে মদীনা মুনাওয়ারায় পাঠিয়ে দিল। বিদায়ের প্রাক্কালে ইয়াযীদ যাইনুল আবেদীন আলী ইবনে হুসাইনকে বলল আল্লাহ তা’আলার যা ফয়সালা ছিল তাই হয়েছে এবং এটা আমার মর্জির খেলাফ হয়েছে যদি অভিশপ্ত ইবনে যিয়াদের স্থলে আমি হতাম তাহলে কখনই এই পরিস্থিতির উদ্ভব হত না। ইমাম হুসাইন রাযি. আমার সামনে যে প্রস্তাব দিত আমি তাই কবুল করে নিতাম এবং তার প্রাণ এভাবে সংহার হতে দিতাম না। বৎস তোমার কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে লিখে জানাবে। (ইবনে আসীর ৪-৩৬)


      হযরত হুসাইন রাযি. এর কন্যা হযরত সাকীনা এই আলোচনায় বড়ই প্রভাবিত হয়েছিলেন তাই তিনি বলতেন খোদাদ্রোহীদের মধ্যে আমি ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার চাইতে উত্তম কাউকে দেখিনি। ইয়াযীদের এ সব কথার বাস্তবতা সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে এ সবই তার মুখের কথা।


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০

43. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*


      *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 


*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৪====🥀*


     *আহলে বাইতের কাফেলা সিরিয়ায়* 


      এই হৃদয় বিদারক ঘটনার পর আহলে বাইতের সদস্যদেরকে কুফায় ইবনে যিয়াদের নিকট পাঠানো হল। আর শহীদদের মাথা তার দরবারে পেশ করা হল। ইবনে যিয়াদ হযরত হুসাইনের রাযি. দাঁত মুবারক একটি লাঠি দ্বারা খোঁচা দিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী হযরত যায়েদ ইবনে আকরাম রাযি.।


      তিনি এই বেআদবী সহ্য করতে পারলেন না। বললেন: আল্লাহর শপথ! আমি নিজের চোখে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এই ঠোটে চুম্বন করতে দেখেছি। এর সাথে বেআদবী কর না। একথা বলে তিনি ক্রন্দন করতে লাগলেন। ইবনে যিয়াদ বলল, বৃদ্ধ হওয়ার কারণে তোমার বোধশক্তি যদি লোপ না পেত তাহলে আমি তোমার গর্দান উড়িয়ে দিতাম। হযরত যায়েদ বদ দুআ করতে করতে মজলিস থেকে চলে গেলেন।


      ইবনে যিয়াদ আহলে বাইতের এই কাফেলা এবং শহীদের মাথা শিমারের তত্বাবধানে দামেশকে ইয়াযীদের নিকট পাঠিয়ে দিল।


https://chat.whatsapp.com/IAmsnxFXehkI5mIL05ApPJ


      ইয়াযীদের দরবারে যখন হযরত হুসাইন রাযি. এর মাথা মুবারক রাখা হল আর পুরস্কারের লোভে শিমার নিজের এবং সাথিদের বীরত্বের কথা উচ্চকন্ঠে বলতে লাগল তখন ইয়াযীদ অশ্রুভরা কন্ঠে বলল: আফসোস তোমাদের উপর। তোমার যদি হুসাইনকে হত্যা না করতে তাহলে আমি তোমাদের প্রতি অধিক খুশি হতাম। আল্লাহর লানত হোক ইবনে মারজানার (ইবনে যিয়াদের) উপর। তার স্থলে যদি আমি হতাম তাহলে আল্লাহর কসম আমি হুসাইনকে মাফ করে দিতাম। আল্লাহ তুমি তাদের উপর রহমত নাযিল কর।


      ইয়াযীদের স্ত্রী হিন্দ বিনতে আব্দুল্লাহ বিন আমের মুখে চাদর পেঁচিয়ে দরবারে এসে বলল আমীরুল মুমিনীন। এটি কি রাসূলের কলিজার টুকরা হুসাইন ইবনে ফাতেমার মাথা।


      ইয়াযীদ জবাব দিল, হ্যাঁ। এটা হুসাইন রাসূল দৌহিত্রের মাথা। তুমি এর জন্য মাতম কর। আল্লাহ ইবনে যিয়াদকে ধ্বংস করুন। সে তাকে হত্যা করার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তবে ইয়াযীদ তাকে শাস্তি দিল না বা কুফার শাসন ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করল না এটা তার চরম অযোগ্যতা প্রমাণ করে।


      অতঃপর ইয়াযীদ দরবারী লোকদেরকে সম্বোধন করে বলল, তোমরা কি জান, এই ঘটনা কেন ঘটল? হুসাইন রাযি. বলেছিল আমার পিতা হযরত আলী রাযি. ইয়াযীদের পিতার চেয়ে উত্তম। আমার মাতা সায়্যিদা ফাতেমা যাহরা রাযি. ইয়াযীদের মাতার চেয়ে উত্তম। আমার নানা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াযীদের নানার চেয়ে উত্তম। আর আমি নিজেও তার চেয়ে উত্তম, তাই খেলাফতের হক ও আমারই বেশি।


      পিতার ব্যাপারে কথা হল আমার পিতা আর তার পিতা আল্লাহর সামনে নিজেদের মুআমালা পেশ করেছিলেন দুনিয়া স্বাক্ষী যে আল্লাহতালা আমার পিতার পক্ষে ফয়সালা করেছেন। উল্লেখ্য ইয়াযীদের এ বক্তব্য ভুল ছিল কারণ রাজত্ব পাওয়া আর উত্তম হওয়া কখনো এক জিনিষ নয়। তবে তার মা রাসূল তনয়া ফাতেমা রাযি. আমার মার চেয়ে উত্তম আর তার নানা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নানার চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি আল্লাহও কিয়ামতের দিবসের উপর বিশ্বাস রাখে সে কখনো কোন ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমকক্ষ বলতে পারে না। তবে হুসাইন বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন নি এবং কুরআনের এই আয়াতের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ হয়নি যেখানে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করছেন, বলুন হে আল্লাহ তুমিই সারা জগতের বাদশাহ, যাকে ইচ্ছা তুমি বাদশাহী দান কর আর যার থেকে ইচ্ছা ছিনিয়ে নাও। (আল কামেল ৩/৪৩৮)


      আল্লাহই ভাল জানেন ইয়াযীদের এসব কথা তার অন্তরের প্রতিধ্বনি ছিল নাকি শুধু মাত্র চাপাবাজি ছিল। আর তার এই অশ্রু দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের অশ্রু ছিল নাকি রাজনৈতিক কুটচাল ছিল। কেননা ইতিহাসে এ ধরনের অশ্রুর দৃষ্টান্ত অনেক দেখতে পাওয়া যায়। ইউসুফ আ. এর ভায়েরাও তাকে কুপে নিক্ষেপ করে ক্রন্দনরত অবস্থায় ঘরে ফিরে এসে পিতা হযরত ইয়াকুব আ. নিকট অনেক দুঃখ প্রকাশ করেছিল। পরবর্তী ঘটনাসমূহ প্রমাণ করে এ সবই তার রাজনৈতিক চাল ছিল। অন্তরের প্রতিধ্বনি ছিল না। বস্তুত ইয়াযীদ শাসন ক্ষমতা লাভ করার পরে অনেক গুলি মারাত্মক ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল ইসলাম ইতিহাসে যার দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। যেহেতু নিছক দোষচর্চা আমাদের উদ্দেশ্য নয় তাই তার দুষ্কর্মের ফিরিস্তি পেশ করা থেকে আমরা বিরত থাকলাম। ঘটনা বুঝানোর স্বার্থে দু একটি বিষয় বলতে বাধ্য হচ্ছি। তাঁর অন্যায়ের মধ্যে ইমাম হুসাইনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করাও একটি মারাত্মক অপরাধ, তেমনিভাবে ইবনে হুসাইনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করাও একটি মারাত্মক অপরাধ তেমনিভাবে ইবনে যিয়াদকে শাস্তির সম্মুখীন না করাও তার পদস্খলন। আর প্রকৃত কথা হল ইবনে যিয়াদ যা করেছিল তারই নির্দেশে বা ইশারায় করেছিল। ইয়াযীদের দুষ্কর্মের সামান্য আলোচনা শুনুন।


      নিঃসন্দেহে ইয়াযীদ মুসলিম ইবনে উকবাকে তিন দিন পর্যন্ত মদীনাতে হত্যা যজ্ঞ চালানোর নির্দেশ দিয়ে সাংঘাতিক রকমের ভুল করেছিল। এই (অন্যায় মূলক) ভ্রান্তি তো ছিলই এর সাথে সাহাবায়ে কিরামের বিরাট একটি অংশ এবং তাদের সন্তানদের হত্যা করার অপরাধও যোগ হয়েছিল এর সাথে। পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের মাধ্যমে সে হযরত হোসাইন রাযি. কে হত্যা করিয়েছিল। তা ছাড়া সেই তিন দিনে মদীনায় সে এমন সীমাহীন অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল যার যথার্থ বর্ণনা ও বিবরণ তুলে ধরা আদৌ সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহই তা ভাল জানেন। মুসলিম ইবনে উকবাকে মদীনায় প্রেরণের পেছনে ইয়াযীদের উদ্দেশ্যে ছিল ক্ষমতা সংহতকরণ ও তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। যাতে কোন প্রতিপক্ষের অস্তিত্ব অবশিষ্ট না থাকে। কিন্তু এজন্য আল্লাহ তাকে শাস্তি দিলেন এবং তার অভিপ্রায় ব্যর্থ করে দিলেন। তাকে তিনি এমনভাবে পাকড়াও করলেন যে ভাবে ক্ষমতাদর্পীদের পাকড়াও করে থাকেন এবং তাকে মৃত্যু মুখে পতিত করলেন। আর অত্যাচারী জনপদের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এমন কঠিনই হয়ে থাকে। তার ধরা বড়ই কঠিন, মর্মন্তুদ। (আল-বিদায়া)


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০

42. *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*


      *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 


         *🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৩====🥀*


     _*হযরত ইবনে আব্বাসের রাযি. স্বপ্ন*_ 


      এ ঘটনা প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন- আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বপ্নে দেখতে পাই । ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়। অত্যাধিক চিন্তান্বিত ও বিষণ্ণ মনে হল তাঁকে। কাদাযুক্ত অবস্থায় উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ছুটে আসছেন। তাঁর হাতে রক্তে পরিপূর্ণ একটি বোতল দেখা যাচ্ছিল। ইবনে আব্বাস বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম হে আল্লাহর রাসূল এই সময়ে এই করুণ অবস্থায় আপনি কোথা থেকে আসছেন? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে ইবনে আব্বাস। আমি কি করে মদীনায় শুয়ে থাকতে পারি? আজ আমার কলিজার টুকরা হুসাইনকে কারবালার ময়দানে যালিম ইয়াযীদ বাহিনী টুকরো টুকরো করে ঘোড়র পায়ের নীচে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আমি আমার কলিজার টুকরার শাহাদাতের মর্মান্তিক ও করুণ দৃশ্য দর্শনের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।


      ইবনে আব্বাস বলেন, আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম-হে আল্লাহ’র রাসূল। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার হাতে কি?


      তিনি বললেন- ইহা একটি বোতল! কারবালার ময়দান থেকে কিছু রক্ত জমিয়ে এ বোতলে করে নিয়ে এসেছি। কিয়ামতের ময়দানে এ রক্ত পেশ করে আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানাব।


      এ স্বপ্ন দেখার পর হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. সকলকে হযরত হুসাইনের রাযি. শাহাদাতের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এর কিছু দিন পর বাস্তবেই হযরত হুসাইনের রাযি. শাহাদাতের সংবাদ মদীনায় পৌঁছল। পরে হিসাব করে দেখা গেল তিনি যেদিন স্বপ্নে দেখেছিলেন ঠিক সে দিনই হযরত হুসাইন রাযি. শাহাদাত বরণ করেছিলেন। (শহীদে কারবালা (উর্দূ) পৃঃ ৯৭, আল-কামেল, লি-ইবনে-আছীর ৩য় খণ্ড)


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০

41. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*


      *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত*             

                          *ইতিহাস* 


*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১২====🥀* 


       *হযরত হুসাইনের রাযি. শাহাদাত* 


      প্রথমে হাতাহাতি লড়াই শুরু হল। উভয় পক্ষ থেকে এক জন করে ময়দানে আসত আর প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করত। কিন্তু এভাবে কুফাবাসীদের প্রচুর ক্ষতি হল। আব্দুল্লাহ ইবনে উমায়ের কালবী, বারীর ইবনে হাসীর, হুর ইবনে ইয়াযীদ এবং নাফে ইবনে হেলাল নিজেদের প্রতিপক্ষকে কচু কাটা করতে লাগল। এই দৃশ্য দেখে শত্রুবাহিনী থেকে উমর ইবনে হাজ্জাজ চিৎকার করে বলল, হে বাহাদুরবৃন্দ তোমরা কি জান কাদের সাথে লড়াই করছ? এরা তো তারা যারা স্বীয় প্রাণ হাতে নিয়ে বের হয়েছে। তাদের সাথে মল্লযুদ্ধ মোটেই সমীচীন নয় সম্মিলিতভাবে আক্রমণ কর। এরা কজনই বা সংখ্যায়? খোদার কসম তোমরা এদের উপর পাথর নিক্ষেপ করলেও এদের কেউ বাঁচবে না।


      এবার ব্যাপকভাবে লড়াই শুরু হল। স্বল্প সংখ্যক আহলে বাইতের জীবন উৎসর্গকারীরা অগণিত কুফাবাসীদের যম হিসাবে আবির্ভূত হল। হুসাইনী বাহিনীর বীরেরা যেদিকে ফিরত শত্রু বাহিনীর ব্যূহ ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলত। কিন্তু যুদ্ধ ছিল অসম (একদিকে অগণিত সেনা। অপরদিকে মাত্র ৭২ জন)। দুপুর হতে হতে হযরত হুসাইন রাযি. এর সকল সাথি এক একে শহীদ হয়ে গেলেন।


      এবার রয়ে গেলেন আহলে বাইতের যুবকবৃন্দ। আকবার ইবনে হুসাইন, আব্দুল্লাহ ইবনে আকীল, মুহাম্মদ ইবনে আকীল, কাসেম ইবনে হুসাইন ইবনে আলী, আবু বকর ইবনে হুসাইন ইবনে আলী প্রমূখগন স্বীয় স্বীয় তরবারীর ঝলক দেখাতে দেখাতে জান্নাতী যুবকদের সরদারের জন্য জান কুরবান করে দিলেন। পরিশেষে হযরত ইমাম হুসাইন রাযি. এর সাথে তার চার ভাই আব্বাস, আব্দুল্লাহ, জাফর এবং উসমান ছাড়া আর কেউ অবশিষ্ট রইল না। যতক্ষণ পর্যন্ত বুকে দম থাকল তারা প্রতিটি আঘাত বুক পেতে গ্রহণ করতে লাগলেন। অবশেষে এক এক করে তারাও জান্নাতের পথে পাড়ি জমালেন । ইমাম হুসাইন রাযি. এখন নিঃসঙ্গ একা। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। পিপাসায় কাতর। কিন্তু তার বীরত্ব উৎসাহ আর উদ্দীপনায় কোন ভাটা পড়ল না। যেদিকেই তার তরবারী উঠত শত্রুর অগণিত লাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়ত। অবশেষে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়লেন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত এভাবে নিশ্চুপ বসে থাকলেন কিন্তু দুশমন তার উপর হামলা করতে সাহস পেল না। তার রক্তে নিজের ভাগ্যকে কলঙ্কিত করা থেকে সকলে বাঁচতে চাচ্ছিল। পরিশেষে শিমার চিৎকার করে বলল এখন কিসের অপেক্ষা? তাকে হত্যা করছ না কেন?


      হযরত হুসাইন রাযি. তৃষ্ণার্ত ওষ্ঠে কেবল মাত্র পানির পাত্র লাগিয়ে ছিলেন এমন সময় হুসাইন ইবনে তামীম নিশানা করে একটি তীর নিক্ষেপ করল যা তার কণ্ঠনালীতে এসে বিদ্ধ হল। তিনি টলতে টলতে ফুরাতের দিকে চললেন কিন্তু শত্রুবাহিনী চারিদিক থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। অরা বিন শুরাইক তামিমী তার উপর তরবারীর আঘাত করল সিনান ইবনে আনাস নাখঈ বর্শার আঘাতে তাকে যমিনে শায়িত করে ফেলল এবং তরবারী দিয়ে মস্তক মুবারক দ্বিখণ্ডিত করে দিল। (ইন্না-- -- --রাজেউন) (আখবারুত তিওয়াল ২৫৫, আল কামেল ৩/৪৩০)


      তার পবিত্র শরীরে বর্শার ৩৩টি আঘাত আর তরবারীর ৩৩টি আঘাত ছিল। এছাড়া অগণিত তীরের আঘাত তো ছিলই। (আল কামেল ৩/৪৩২)


      তার শাহাদাতের পরে পাপিষ্ঠরা আহলে বাইতের মহিলাদের তাঁবুর দিকে ধাবিত হল। মাল-সামান যা কিছু ছিল সব লুট পাট করে নিলো। এমন কি মহিলাদের গায়ের চাদর পর্যন্ত খুলে নিলো। তার দুই পুত্র যাইনুল আবেদীন এবং আলী আসগর অসুস্থতার কারণে তাবুতে শায়িত ছিল। শিমার তাদেরকেও শহীদ করতে চাইল, কিন্তু উমর ইবনে সাআদ বলল, মহিলাদের তাবুতে প্রবেশ করনা। আর বাচ্চাদের গায়ে হাত উঠিওনা।


      মহিমান্বিত শাহাদাতের এই মর্মান্তিক হৃদয়স্পর্শি ঘটনা ৬১ হিজরী সনের ১০ ই মুহাররম রোজ শুক্রবার সংঘটিত হল। পরের দিন গাযেরিয়ার অধিবাসীরা জানাযার নামায আদায় করে শহীদদেরকে কারবালার ময়দানেই দাফন করল। হযরত হুসাইন রাযি. সহ অন্যান্য শহীদদের মাথা যেহেতু দুশমনরা কেটে নিয়ে গিয়েছিল তাই মাথা বিহীন শরীর দাফন করা হল। আল্লাহ তা’আলা তাদের সকলের উপর রহম করুন এবং তাদের সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করেন।


           *آمیـــــــــن‎ ‎یــا ربّـــــ العــالمیــــن*



   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

40. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*


      *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত*             

                          *ইতিহাস* 


*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১১====🥀*


                  *শাহাদাতের সকাল* 


      পরিশেষে আশুরা দিবসের সকালের উন্মেষ ঘটল। সূর্য রক্ত অশ্রু ছড়াতে ছড়াতে উদিত হল। হযরত হুসাইন রাযি. ফজরের নামায শেষে জীবন উৎসর্গকারী ৭২ জন সাথি নিয়ে রণাঙ্গনে এলেন। ডান দিকে যুবায়ের ইবনে কীন, বাম দিকে হাবীব ইবনে মুজাহেরকে নিযুক্ত করলেন।


      আব্বাস ইবনে আলীর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে ইমাম হুসাইন রাযি. স্বয়ং ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করলেন এবং কুরআন শরীফ আনিয়া সামনে রাখলেন অতঃপর হাত তলে দূ’আ করলেন।


      তিনি যদিও খুব ভালভাবে জানতেন যে, তার কোন চেষ্টা বাহ্যিকভাবে সফলকাম হবে না তবুও দলীলের পূর্ণতার জন্য কুফাবাসীদেরকে সম্বোধন করে নিম্নোক্ত ভাষণ প্রদান করলেন, যাতে করে কুফাবাসী আল্লাহর দরবারে কোন ওজর পেশ করতে না পারে। “হে লোক সকল! একটু থাম। আমার কথা শ্রবণ কর। যেন আমি আমার দায়িত্ব পূর্ণ করতে পারি। তোমরা যদি আমার কথা শ্রবণ কর আর আমার সাথে ন্যায় বিচার কর তাহলে তোমাদের চেয়ে সৌভাগ্যশালী আর কেউ নেই। পক্ষান্তরে তোমরা যদি এর জন্য প্রস্তুত না থাক তাহলে সেটা তোমাদের ইচ্ছা, ঘটনার সব দিক তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর তোমরা যা ইচ্ছা করার অধিকার রাখবে। আমার সাথে কোন কিছু করতে বাদ রাখবে না, আমার সাহায্যকারী আমার আল্লাহ ।


https://chat.whatsapp.com/IAmsnxFXehkI5mIL05ApPJ


      হযরত হুসাইন রাযি. এতটুকু বলতে না বলতেই মহিলাদের তাঁবু থেকে কান্নার রোল ভেসে এলো। তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ঠিকই বলেছিল। মহিলাদেরকে সাথে না আনাই ভাল ছিল। অতঃপর তিনি আব্বাস ইবনে আলীকে মহিলাদেরকে চুপ করানোর জন্য পাঠালেন। তারা নিশ্চুপ হয়ে গেল তিনি আবার বক্তৃতায় ফিরে এলেন, হে লোকেরা! একটু চিন্তা করে দেখ আমি কে? তারপরে ভেবে দেখ তোমাদের জন্য আমাকে হত্যা করা এবং আমাকে লাঞ্ছিত করা জায়েয আছে কি? আমি কি তোমাদের নবীর দৌহিত্র নই? আমি কি তার চাচাত ভাই আলীর পুত্র নই? সায়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা রাযি. কি আমার পিতার চাচা ছিলেন না? শহীদ জা’ফর তাইয়ার কি আমার চাচা ছিলেন না? আমাদের দুই ভাই সম্পর্কে তোমরা কি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রসিদ্ধ হাদীস শোননি “হে হাসান, হুসাইন! তোমরা জান্নাতের সরদার আর আহলে সুন্নাতের চোখের শীতলতা।” আমার কথা যদি বিশ্বাস না হয়, অথচ আমি জীবনে কখনো মিথ্যা বলি নাই, তাহলে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনেক সাহাবী রাযি. এখনো জীবিত আছেন, তাদের জিজ্ঞাস করে দেখ। এতদসত্বেও কি তোমরা আমার রক্তপাত থেকে বিরত হবে না? নবীর এই হাদীসের ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে? অথবা এই ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ আছে যে, আমি ফাতেমা যাহরার ছেলে হুসাইন? এতে যদি সন্দিহান হও তাহলে আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারি যে, তোমরা পূর্ব-পশ্চিমে আমি ব্যতীত আর কাউকে নবী-দৌহিত্র রূপে আর ফাতেমার আদরের দুলাল হিসাবে পাবে না। তোমরা আমাকে কেন হত্যা করতে চাও? আমি তোমাদের কাউকে হত্যা করেছি? তোমাদের কারো ধনসম্পদ ডাকাতি করেছি? তোমাদের কাউকে আহত করেছি?


      অতঃপর তিনি কুফায় কয়েকজন নেতার নাম ধরে ডাকলেন এবং বললেন, তোমরা কি পত্র প্রেরণ করে আমাকে আমন্ত্রণ জানাওনি?


      তারা বলল- না, আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাইনি। হযরত হুসাইন বললেন, তোমরা অবশ্যই আমন্ত্রণ জানিয়েছ। তবে এখন আমার আগমন যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমাকে নিজের আশ্রয়ের জায়গায় যেতে দাও।


      এক ব্যক্তি বলল, আপনি আমার চাচাত ভাই ইবনে যিয়াদের ‍সিদ্ধান্ত কেন মেনে নিচ্ছেন না? এটাই তো আপনার জন্য ভাল।


      হযরত হুসাইন রাযি. বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি ছোট লোকদের মত আমার হাত দুশমনের হাতে দিতে পারি না। গোলামের মত তাদের দাসত্ব মেনে নিতে পারি না। আমি সকল অহংকারী থেকে যাদের কিয়ামতের উপর বিশ্বাস নাই- আল্লাহ তা’আলার আশ্রয় কামনা করছি। (আল কামেল ৩/৪১৮-১০)


      ইমাম হুসাইনের রাযি. পদতলে হুর ইবনে ইয়াযীদঃ ইমাম হুসাইনের রাযি. এই ভাষন কুফাবাসীর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারল না। তবে হুর ইবনে ইয়াযীদ তামীমী ধীরে ধীরে ঘোড়া নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং কাছাকাছি পৌঁছে ঘোড়াকে জোড়ে এক গোড়ালী মেরে আহলে বাইতের বাহিনীতে যোগ দিলেন। তিনি ইমাম হুসাইনকে রাযি. বললেন, হে রাসূলের বংশধর! আমিই ঐ নরাধম যে সর্বপ্রথম আপনাকে বাধা দিয়েছি। কিন্তু আমি জানতাম না যে, আমার সম্প্রদায় বদবখতীর চরম সীমায় পৌঁছে যাবে এবং যুদ্ধ ছাড়া আর কোন যুক্তি সংগত পন্থা অবলম্বন করবে না। এখন আমি আপনার পদতলে হাজির। শরীরে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে আপনার সাহচর্য্যের হক আদায় করব। আল্লাহর ওয়াস্তে বলুন, আমার এই ভূমিকা কি পিছনের গোনাহ মাফের জন্য যথেষ্ট হবে?


      হযরত হুসাইন রাযি. খুশি হয়ে বললেন অবশ্যই হে হুর। দুনিয়াতেও তুমি হুর (স্বাধীন) আখেরাতেও ইনশাআল্লাহ দোযখের আযাব থেকে মুক্তি পাবে। হুর এবার স্বীয় কওমকে সম্বোধন করে বললেন: হে লোক সকল ইমাম হুসাইনের রাযি. প্রস্তাবিত দফা সমূহের মধ্যে যে কোন একটি দফা নাও এবং তার বিরুদ্ধে তরবারী ধারণের অভিশাপ থেকে বেঁচে যাও।


      উমর ইবনে সাআদ বলল, আমি তো সমঝোতাই পছন্দ করি কিন্তু এটি তো আমার আয়ত্বের বাইরে চলে গেছে। অতঃপর কুফাবাসীদের পক্ষ থেকে একটি তীর নিক্ষিপ্ত হল এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। (আল কামেল ৩/৪২১)


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

39. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *﷽   ﷽    ﷽    ﷽    ﷽*    *﷽*


*ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 



*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১০====🥀*


             *পানি বন্ধ করে দেয়া হল* 


      ইমাম হুসাইন কোন অবস্থায় ইয়াযীদের হাতে বাই’আত করতে সম্মত হলেন না। সুতরাং মুহাররমের ৭ তারিখে উমর ইবনে সাআদ ইমাম হুসাইন এবং তার সাথিদের পানি বন্ধ করে দিল। এবং ফুরাতের তীরে ৫০০ সৈন্য মোতায়েন করল। ইমাম হুসাইন রাযি. স্বীয় বাহাদুর ভাই আব্বাস ইবনে আলীকে পানি আনতে বললেন। তিনি ত্রিশ জন অশ্বারোহী আর বিশটি মশক নিয়ে পানি আনতে গেলেন। এবং জোর করে পানি নিয়ে এলেন। (আল কামেল ৩/৪১২)


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

38. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *﷽   ﷽    ﷽    ﷽    ﷽*    *﷽*


*ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 



 *🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -৯ ====🥀*


*ইমাম হুসাইন রাযি.এর কারবালায় অবস্থান* 


      কারবালায় অবতরণের পরের দিন উমর ইবনে সাআদ ইবনে অক্কাস চার হাজার সৈন্য নিয়ে সেখানে উপস্থিত হল। উমর ইবনে সাআদ কে ইবনে যিয়াদ রাই এবং সীমান্ত শহর দাইলামের শাসক নিযুক্ত করেছিল। সে স্বীয় এলাকার যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন সময় ইমাম হুসাইনের রাযি. যাত্রার সংবাদ আসে তাই ইবনে যিয়াদ তাকে ইমাম হুসাইনকে প্রতিহত করার নির্দেশ দেয় কিন্তু উমর ইবনে সাআদ অপারগতা প্রকাশ করে। ইবনে যিয়াদ বলল এই দায়িত্ব পালন করতে যদি দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে তাহলে রাই আর দাইলামের কর্তৃত্বও তুমি পাবে না। উমর ইবনে সাআদ শাসন ক্ষমতার লোভে এই আদেশ পালন করতে রাজি হয়ে গেল। কিন্তু সে ইমাম হুসাইনের রাযি. সাথে লড়াই করতে চাচ্ছিল না। তাই শেষ সময় পর্যন্ত মিটমাটের চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগল।


      উমর ইবনে সাআদ ইমাম হুসাইনের রাযি. নিকট দূত পাঠিয়ে জানতে চাইল, আপনি কি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন? ইমাম হুসাইন রাযি. বললেন, ১৮ হাজার কুফাবাসীরা আমাকে চিঠি লিখেছিল যে, আমাদের কোন ইমাম নেই। আপনি তাশরীফ নিয়ে আসুন আমরা আপনার হাতে বাই’আত করব। আমি তাদের চিঠির উপর ভরসা করে বেরিয়ে পড়েছি। পরে কুফাবাসী আমার হাতে বাই’আত করেও তা ভঙ্গ করেছে এবং আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। আমি এটা অবগত হয়ে দেশে ফিরে যেতে চাইলাম কিন্তু হুর ইবনে ইয়াযীদ আমাকে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলনা। এখন তুমি আমার নিকটাত্মীয়। আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মদীনা চলে যাব।


      উমর এই জওয়াব শুনে বলল, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর শপথ আমি নিজেও চাই যে হুসাইনের রক্তে আমার হাত যেন রঞ্জিত না হয়। অতঃপর সে ইবনে যিয়াদকে ইমাম হুসাইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করল। ইবনে যিয়াদ উত্তরে লিখল হুসাইনের নিকট থেকে ইয়াযীদের বাই’আত গ্রহণ কর। এর পরে আমরা অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করব। যদি বাইআতে রাজি না হয় তাহলে তার পানি বন্ধ করে দাও।


   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

44. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*       *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*  *🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৫====🥀*      *আহলে বাইতের সদস্য ব...