*⛲ ♧ ﷽ ﷽ ﷽ ﷽* *♧* *⛲*
*ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*
*🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৫====🥀*
*আহলে বাইতের সদস্য বর্গের স্বদেশ*
*প্রত্যাবর্তন*
ইয়াযীদ আহলে বাইতের মহিলাদেরকে নিজ অন্দর মহলে থাকতে দিল। উভয় বংশের মধ্যে যেহেতু আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল তাই ইয়াযীদ বংশীয় সমস্ত মহিলাগণ তাদের নিকট এসে সমবেদনা জ্ঞাপন করতে লাগল এবং তাদের দুঃখে শরীক হতে লাগল। ইয়াযীদ উভয় বেলা আহারের সময় ইমাম যাইনুল আবেদীন আলী ইবনে হুসাইনকে শাহী দস্তর খানায় নিজের সাথে বসাত। কয়েকদিন যত্নখাতিরের সাথে মেহমানদারী করানোর পরে ইয়াযীদ আহলে বাইতের কাফেলাকে কিছু মাল সামান দিয়ে একজন বিশ্বস্ত সৎচরিত্র ব্যক্তির তত্বাবধানে মদীনা মুনাওয়ারায় পাঠিয়ে দিল। বিদায়ের প্রাক্কালে ইয়াযীদ যাইনুল আবেদীন আলী ইবনে হুসাইনকে বলল আল্লাহ তা’আলার যা ফয়সালা ছিল তাই হয়েছে এবং এটা আমার মর্জির খেলাফ হয়েছে যদি অভিশপ্ত ইবনে যিয়াদের স্থলে আমি হতাম তাহলে কখনই এই পরিস্থিতির উদ্ভব হত না। ইমাম হুসাইন রাযি. আমার সামনে যে প্রস্তাব দিত আমি তাই কবুল করে নিতাম এবং তার প্রাণ এভাবে সংহার হতে দিতাম না। বৎস তোমার কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে লিখে জানাবে। (ইবনে আসীর ৪-৩৬)
হযরত হুসাইন রাযি. এর কন্যা হযরত সাকীনা এই আলোচনায় বড়ই প্রভাবিত হয়েছিলেন তাই তিনি বলতেন খোদাদ্রোহীদের মধ্যে আমি ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার চাইতে উত্তম কাউকে দেখিনি। ইয়াযীদের এ সব কথার বাস্তবতা সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে এ সবই তার মুখের কথা।
_*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন