*ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*
*====== প্রথম অধ্যায়,পর্ব -২০ ======*
*হযরত আলী রাযি.-এর শাহাদাত*
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম হযরত আলী রাযি. আবাসস্থল কুফায় এলো। এখানে এসে যে, খারেজী গোত্রের এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে হযরত আলী রাযি. কে হত্যার ফন্দি আঁটতে লাগল। তারা উভয়ে এ কাজে আরো দু’জন খারেজীকে অন্তর্ভুক্ত করল। অবশেষে রমজানের ১৭ তারিখে ইবনে মুলজিম ও তার দুই সহযোগী কুফার জামে মসজিদে আত্মগোপন করে বসে রইল। ফজরের নামাযের সময় হযরত আলী রাযি. মসজিদে প্রবেশ করে যথারীতি ঘুমন্তদের জাগ্রত করতে লাগলেন। ঘাতকদের একজন গুপ্তস্থান হতে বের হয়ে তাঁর উপর তলোয়ারের আঘাত হানল। হযরত আলী রাযি. মিহরাবে লুটে পড়লেন, ইবনে মুলজিম তাঁর মাথায় পুনরায় আঘাত কর। এতে- তার সমস্ত শরীর ও দাড়ি রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেল। ইবনে মুলজিম ধরা পড়ল ও অপর দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হল।
আশংকাজনক অবস্থায় হযরত আলী রাযি. কে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হল। অবশেষে সেদিন রাতেই তিনি শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। অতঃপর হযরত হাসান রাযি. খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর ইবনে মুলজিমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।
এদিকে ইবনের মুলজিমের অপর সাথী বারক বিন আব্দুল্লাহও দামেস্ক (সিরিয়ার রাজধানী) পৌঁছে ঐ তারিখেই হযরত মুআবিয়া রাযি. যখন ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বেরুচ্ছিলেন, তখন তাঁর উপর আক্রমণ করে। তিনি সামান্য আহত হন। অতঃপর ঘাতক বারককে গ্রেফতারের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর বিশেষতঃ নামাযের সময়ের জন্য হযরত মুআবিয়া রাযি. নিজের জন্য দেহ রক্ষী নিয়োজিত করেন। ইবনে মুলজিমের তৃতীয় সঙ্গী আমর বিন বাকরও মিসরে নির্দিষ্ট দিনক্ষণে হযরত আমর ইবনুল ‘আসের রাযি. হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তিনি সেদিন অসুস্থ থাকার কারণে মসজিদে ‘আসতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে সেদিক খারিজা বিন আবী হাবীবা নামাযের ইমামতি করেন। ঘাতক তাকেই কাঙ্খিত ব্যক্তি মনে করে আক্রমণ চালায় এবং শহীদ করে ফেলে। অতঃপর নিজেও বন্দী হয়ে নিহত হয়।
📋 _*নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন