অনুসরণকারী

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০

16. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস

 *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস* 


 *====== প্রথম অধ্যায়,পর্ব -১৬ ======*


             *জঙ্গে জামালের ইতিহাস* 


 *জঙ্গে জামাল মুসলিম ইতিহাসের মর্মান্তিক ট্রাজেডিঃ* 


      বৈঠক শেষ করে উভয় পক্ষ স্ব স্ব শিবিরে ফিরে আসেন, উভয় পক্ষের সন্ধি প্রিয় লোকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ পেলেন এবং উভয় পক্ষের সৈন্যরাই রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল, এদিকে রাতের আধার কাটার পূর্বেই মরণ কামড় হানার লক্ষ্যে ওঁত পেতে থাকা সাবায়ী গোষ্ঠীর লোকেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে একদল হযরত আয়িশা হযরত আলীর রাযি. ঘুমন্ত বাহিনীর উপর আক্রমণ করল এবং উভয় দলের মধ্যেই অপর পক্ষের বিশ্বাসঘাতকতা ও আক্রমণের সংবাদ ছড়িয়ে দিল। ফলে তাদের মাঝে বেধে গেল তুমুল যুদ্ধ। উভয় পক্ষের যুদ্ধের এই ডামাডোল চলাকালীন সময়ে সাবায়ীরা উভয় দলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যা করতে ওঁত পেতে থাকে। যুদ্ধের প্রারম্ভে কাব বিন ছাওরিয়া হযরত আয়িশার রাযি. পক্ষ হতে শান্তিবানী ও যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা নিয়ে দাঁড়ালে সাবায়ীরা তাকে তীর নিক্ষেপে হত্যা করে এবং একই সঙ্গে তারা হযরত আয়িশার রাযি. হাওদা (উটের পিঠের উপর বসার স্থান যাতে তিনি অবস্থান করছিলেন) কে তীর নিক্ষেপের নিশানা বানায়। এমতাবস্থায় স্বয়ং মহানবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবারকে আশংকা জনক অবস্থায় দেখে বসরাবাসীগণ তাঁর হাওদা ঘিরে রাখেন। হযরত আয়িশা রাযি. কে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়ে সাবায়ী গোষ্ঠী তাঁর উটের চালককে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানায় এতে একের পর এক সত্তর জন প্রাণ উৎসর্গ করেন।


      রাতের অন্ধকারে উভয় দলের উপর সাবায়ীদের চরম রক্তক্ষয়ী ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক যে ভুল বুঝাবুঝি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল তার রেশ কেটে অবশেষে যখন যুদ্ধ বন্ধ হলো তখন দেখা গেল যে, ইতিমধ্যে সাবায়ীদের চক্রান্তে মুসলমানদের পারস্পরিক ভুল বুঝাবুঝিতে তাদের হাতে দশ হাজার মুসলমান শহীদ হয়ে গেছেন। যাদের মধ্যে আশারা মুবাশশারার অন্যতম দুই সাহাবী হযরত ত্বালহা ও যুবাইর রাযি. এবং হযরত ত্বালহার রাযি. দুই ছেলেও ছিলেন।


      যুদ্ধ শেষে হযরত আলী রাযি. ময়দানের সকল প্রান্তে ঘুরে ঘুরে দেখলেন এবং নেতৃস্থানীয় সাহাবীদের রাযি. এই অনর্থক গৃহযুদ্ধের শিকার হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে তিনি অত্যন্ত আবেগাপ্লূত হয়ে উঠেন এবং আফসোস করতে থাকেন। হযরত ত্বালহার রাযি. লাশ দেখে আফসোস করে বললেন- কুরাইশ গোত্রীয় কোন ব্যক্তিকে আমি লুটে পড়ে থাকতে দেখা সহ্য করতে পারি না। অতঃপর তিনি তার অনেক গুন কীর্তন করার পর উভয় পক্ষের শহীদগণের জানাযা পড়ান ও তাদের কাফন দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। এভাবেই সাবায়ীদের ষড়যন্ত্র সফলতা লাভ করে এবং এ সময়ই সর্বপ্রথম এক মুসলমানের হাত অপর মুসলমান ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়। ইতিহাসে এ যুদ্ধ জঙ্গে জামাল নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে।



   _*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

44. ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*

 *⛲ ♧  ﷽   ﷽   ﷽   ﷽*  *♧*  *⛲*       *ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*  *🥀====তৃতীয় অধ্যায়,পর্ব -১৫====🥀*      *আহলে বাইতের সদস্য ব...