*ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস*
*====== প্রথম অধ্যায়,পর্ব -২ ======*
*ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র*
*ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র ও রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভূমিকাঃ*
আমাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্রের মুখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাল ছেড়ে বসে থাকেননি এবং নীরবে নিশ্চুপ থেকে তা হজম করেও নেননি। বরং তাদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাসময়ে কঠোর ও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও কু-মতলবকে গুড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শাস্তিও প্রদান করেছেন। তাই মুসলিম বিশ্বের বর্তমান বিপদ সংকুল মুহূর্তে আজ আমাদেরও উজ্জীবিত হতে হবে মহানবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই জিহাদি প্রেরণায়। রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নতী পথ ধরে চলতে হবে ইয়াহুদী, খৃষ্টান, কাফির, নাস্তিক ও বেদীনের মুকাবিলায় । তাহলেই আমরা সক্ষম হবো ইয়াহুদী-খৃষ্টানচক্র ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্রের ভিত উপড়ে ফেলতে।
ইতিপূর্বে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের ষড়যন্ত্রসমূহের কতিপয় দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়েছে। এখন মুসলমানের ছদ্মবেশী মুনাফিকরূপী ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে সব কূটকৌশল অবলম্বন করতো, তার কতিপয় দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে।
মুনাফিক হচ্ছে যারা বাহ্যতঃ ইসলাম গ্রহণ করেছিল কিন্তু আন্তরিকভাবে তারা মুমিন ছিল না। বরং তাদের অন্তর ছিল ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। এরা মুসলমানদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার পাশাপাশি কাফির ও শত্রুদের নিকট মুসলমানদের সব রকম গোপন তথ্য পাচারের চেষ্টায় লিপ্ত থাকতো। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে এদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন-
*وَمِنَ النَّاسِ مَنْ یَّقُوْلُ اٰمَنَّا بِاللهِ وَ بِالْیَوْمِ الْاٰخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِیْنَ ۘ﴿۸﴾ یُخٰدِعُوْنَ اللهَ وَالَّذِیْنَ اٰمَنُوْا ۚ وَمَا یَخْدَعُوْنَ اِلَّاۤ اَنْفُسَهُمْ وَمَا یَشْعُرُوْنَ ؕ﴿۹﴾ فِیْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ ۙ فَزَادَهُمُ اللهُ مَرَضًا ۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌۢ ۬ۙ بِمَا کَانُوْا یَکْذِبُوْنَ ﴿۱۰﴾ وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ ۙ قَالُوْۤا اِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُوْنَ ﴿۱۱﴾ اَلَاۤ اِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُوْنَ وَلٰکِنْ لَّا یَشْعُرُوْنَ ﴿۱۲﴾ وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ اٰمِنُوْا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوْۤا اَنُؤْمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَهَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَآءُ وَلٰکِنْ لَّا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۳﴾ وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قَالُوْۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ اِذَا خَلَوْا اِلٰی شَیٰطِیْنِهِمْ ۙ قَالُوْۤا اِنَّا مَعَكُمْ ۙ اِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِءُوْنَ ﴿۱۴﴾ اَللهُ یَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَیَمُدُّهُمْ فِیْ طُغْیَانِهِمْ یَعْمَهُوْنَ*
*অর্থঃ* মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা বলে-আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। মূলতঃ তারা (এরূপ কথা বলে) আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ এতে তারা নিজেরাই শুধু ধোঁকা খাচ্ছে। কিন্তু তারা তা উপলব্ধিও করতে পারছে না। তাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্ত। আর আল্লাহপাক তাদের ব্যাধি আরও বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের এ মিথ্যাচারের দরুন তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব। আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না তখন তারা বলে আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী । কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। আর যখন তাদেরকে বলা হয় সাহাবীগণ রাযি. যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন তখন তারা বলে আমরা কি ঈমান আনবো বোকাদের মত ? মনে রেখো প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা। কিন্তু তারা তা বোঝে না। আর তারা যখন ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তোমাদেরই সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্র। আল্লাহ পাক তাদের এ উপহাসের সমুচিত শাস্তি দিবেন। তবে (দুনিয়াতে)
তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে আরো মাতোয়ারা ও হয়রান পেরেশান হতে থাকে। (সূরাহ বাকারাহ-৮-১৫)
*অন্যত্র আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-*
*اِنَّ الْمُنٰفِقِیْنَ یُخٰدِعُوْنَ اللهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ ۚ وَ اِذَا قَامُوْۤا اِلَی الصَّلٰوۃِ قَامُوْا كُسَالٰی ۙ یُرَآءُوْنَ النَّاسَ وَلَا یَذْكُرُوْنَ اللهَ اِلَّا قَلِیْلًا ﴿۱۴۲﴾۫ۙ مُّذَبْذَبِیْنَ بَیْنَ ذٰلِکَ ٭ۖ لَاۤ اِلٰی هٰۤؤُلَآءِ وَلَاۤ اِلٰی هٰۤؤُلَآءِ ؕ وَمَنْ یُّضْلِلِ اللهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهٗ سَبِیْلًا*
*অর্থঃ* অবশ্যই মুনাফিকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ আল্লাহই তাদের প্রতারণার শাস্তি দিবেন। আর যখন তারা নামাযে দাঁড়ায় তখন একান্ত অলসতার সাথে দাড়ায়। উদ্দেশ্যও আবার শুধু লোক দেখানো। আর তারা আল্লাহকে সামান্যই স্মরণ করে। এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত। এদিকেও নয়, ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোথাও কোন পথ পাবে না। (সুরাহ নিসা, ১৪২-১৪৩)
*দৃষ্টান্ত-১:* উহুদ যুদ্ধের প্রাক্কালে মুসলমানগণ যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ করছিলেন যে, মদীনা হতে বের হয়ে কাফিরদের মোকাবিলা করা হবে, নাকি মদীনার অভ্যন্তরে থেকেই শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করা হবে? স্বভাবগতভাবে মুসলিম ছদ্মবেশী মুনাফিকরাও পরামর্শ সভার অংশীদার ছিল। আর তাদের অভিপ্রায় ছিল-সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে মদীনায় বসে কেবল আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ পরিচালনা করা হোক। কিন্তু অন্যান্য বরেণ্য মুজাহিদ সাহাবায়ে কিরামের সাহসিকতাপূর্ণ আগ্রহে শেষ পর্যন্ত যখন মদীনা হতে বের হয়ে কাফিরদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তাবই গৃহীত হলো তখন যুদ্ধে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর তিন হাজার কাফির সৈন্য বাহিনীর মোকাবেলায় মাত্র এক হাজার মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীকে আরো ক্ষুদ্র করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে নিশ্চিত পরাজয়ের সম্মুখীন করার এক গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাই এই বলে তার তিনশত মুনাফিক অনুসারীসহ মধ্য পথ হতে ফিরে এলো যে, যখন আমাদের পরামর্শের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করা হলো না বরং অন্যদের পরামর্শই গ্রহণ করা হল তখন আমাদের আর যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। আমরা এই বিশাল শত্রু বাহিনীর হাত থেকে আত্মরক্ষার পরিবর্তে রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হয়ে নিজেদেরকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে নিক্ষেপ করতে পারি না। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কি পূর্ব মুহূর্তে তার এই ধরনের প্ররোচনা মুসলিম সৈন্য বাহিনীতে এতই ক্ষতিকর প্রভাব ফেললো যে, কতিপয় দুর্বল ও নতুন মুসলমানও তার সাথে পশ্চাদপসরণ করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করল। সেই সাথে দু’একটি গোত্রও তাদের সাথে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করার ইচ্ছা করেছিল কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে তারা রক্ষা পেল।
*দৃষ্টান্ত-২:* পঞ্চম হিজরীর ঘটনা । মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম রাযি. গণ বনু মুস্তালিক যুদ্ধে বিজয়ের পর রণাঙ্গন থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন, পথিমধ্যে কুপ হতে পানি উঠানোকে কেন্দ্র করে এক মুহাজির সাহাবীর রাযি. সাথে খাযরাজ গোত্রের অপর এক আনসারী সাহাবীর রাযি. সামান্য ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হস্তক্ষেপে ঘটনা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। তদন্তের পর উক্ত মুহাজির সাহাবীরই রাযি. অপরাধ প্রমাণিত হয়। সেই প্রেক্ষিতে সাহাবীগণ রাযি. উক্ত আনসারী সাহাবীকে রাযি. বুঝিয়ে শুনিয়ে মাফও করিয়ে নিয়ে ছিলেন। মুনাফিকদের যে দলটি যুদ্ধ লব্ধ সম্পদের লালসায় মুসলমানদের সাথে একত্রিত হয়েছিল তাদের নেতা মুনাফিক আব্দুল্লাহ বিন উবাই এই ঘটনা অবহিত হয়ে আনসার ও মুহাজির সাহাবীগণের রাযি. ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করার লক্ষ্যে তাদের মাঝে বিরোধ ও বিবাদ সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালায়। তখন সে আনসার সাহাবীদের রাযি. উত্তেজিত করার উদ্দেশ্যে বলল- এই ভিনদেশী মুহাজির তোমাদের খেয়ে তোমাদের পরে মোটা তাজা হয়ে এখন তোমাদেরই খেয়ে ফেলতে চায় দেখছি। খোদার কসম! এবার মদীনা প্রত্যাবর্তন করে আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মদীনা হতে বিতাড়িত করবো। (নাউজুবিল্লাহ)।
হযরত উমর রাযি. এই ঘটনা শ্রবণ করলেন এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বলে হযরত উমর রাযি. কে নিবৃত্ত করলেন যে, “লোকেরা এই বলে আমার সম্পর্কে ভীতি ছড়াবে যে, মুহাম্মদ স্বীয় লোকদের হত্যা করে।” এক সাহাবীর প্রশ্নের জবাবে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন- “তুমি কি জানো না, আব্দুল্লাহ বিন উবাই কি জঘন্য কথা বলেছেন? তখন তিনি আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার কথা তাকে বলতে দিন, সে মনে করে যে, আপনি তার হাত থেকে সমগ্র মদিনাবাসীর নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিয়েছেন, আপনি না এলে সেই মদিনার একক নেতৃত্বের অধিকারী হতে। এ কারণে প্রতিনিয়ত আপনার ও মুসলমানদের প্রতি হিংসার আগুনে জ্বলছে সে।”
অতঃপর মদিনা প্রত্যাবর্তনের পথে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ বিন উবাইকে ডেকে তার অশোভন উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে সরাসরি তা অস্বীকার করে। এবং দ্বিধাহীনচিত্তে তার উপর মিথ্যা কসম খায়। তখনই সূরা মুনাফিকুন অবতীর্ণ করে আল্লাহ তা‘আলা তাদের মুখোশ উম্মোচন করে দিলে মদিনার সর্বত্র সে অপদস্থ ও লাঞ্ছিত হতে থাকে। সবার ধারনা ছিল যে, এবার তাকে মৃত্যুদণ্ডই দেয়া হবে। তখন আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের পুত্র আব্দুল্লাহ যিনি খাটি মুসলমান ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন- তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে আরজ করলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি আমার পিতাকে হত্যা করতে মনস্থ করে থাকলে আমাকে হুকুম করুন, আমি তার মাথা কেটে আপনার দরবারে হাজির করব।” তিনি আরও বললেন, “সমগ্র খাযরাজ গোত্রে আমি মাতা-পিতার সবচেয়ে অনুগত সন্তান বলে পরিচিত। তথাপি পিতৃহত্যার ব্যাপারে আপনার আদেশই শিরোধার্য। কিন্তু আপনি যদি অন্য কাউকে হত্যার আদেশ দেন, তাহলে আমি হয়তোবা পিতৃহত্যাকে চোখের সামনে দৃশ্যমান হতে দেখে আত্মসংবরণ করতে পারবা না।” মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- তুমি নিশ্চিত থাক, আমি তার ব্যাপারে সেই ধরনের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব না।
_*📋নিজে পড়বেন এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।*_
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন